সরকারি খাল-রাস্তা দখল করে পুলিশের বাড়ি নির্মান

সরকারি খাল-রাস্তা দখল করে পুলিশের বাড়ি নির্মান


এম অহিদুজ্জামান ডিউক ,প্রতিনিধি বাউফলঃ দক্ষিনাঞ্চলের প্রাচীন বানিজ্যিক নদী বন্দর কালাইয়া-দশমিনা উপজেলার ল্যাংড়া মুন্সির পুল এলাকায় একমাত্র খালের মধ্যে গাইড ওয়াল করে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি নির্মান করছেন এক পুলিশ সার্জেণ্ট। বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করলেও অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছে না এ দখলের  মহোৎসব।


সরেজমিনে দেখা গেছে,  কালাইয়া দাশপাড়া  খালের সংযোগকারী ব্রিজটির কোল ঘেষেই নির্মান করা হচ্ছে একাধিক দোকান ঘর ও ভবন। দখলের কাজ স্থানীয়রা বাহির থেকে যাতে দেখতে না পারে সে জন্য পলিথিন ও পাটের চট দিয়ে বেড়া দিয়ে অতি সঙ্গপনে  নির্মান কাজ চালানো হচ্ছে। কাজের তদারকি করছেন সার্জিন্টের পতœী মিসেস নাঈম। খালের মধ্যে বেইজ কলম নির্মানের কাজ প্রায় শেষের পথে। ইতিমধ্যেই ভোগান্তিতে পরেছে দশমিনা কালাইয়া  অঞ্চলের নৌ পথে মালামাল নেওয়া আনা করা ব্যবসায়িরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তার জমির চেয়ে বেশি অংশ খালের মধ্যে দখল করে নিয়ে কাজ করছেন। তিনি পুলিশে চাকুরী করার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওই পুলিশ সদস্য শুধু খালই দখল করেননি, সরকারি রাস্তাও দখল করে বাড়ি নির্মান করেছেন। এলজিইডি বাউফল উপ প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভবনের একাধিক কলাম(খুটি) মূল সড়কের মধ্যে চলে আসছে। কালাইয়া থেকে দাশপাড়া হয়ে লোহালিয়া পর্যন্ত ১৮ ফুটের রাস্তার কাজ শুরু হলে তার ভবনের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাকে রাস্তা রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। বরিশাল শহরে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট নাঈম বলেন, আমি কোন সরকারি রাস্তা ও খাল দখল করে বাড়ি নির্মান করছিনা। আমার পৈত্রিক ভিটায় বাড়ি  নির্মান করছি।  এ প্রসঙ্গে বাউফলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বালি জানান, ‘ওই পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং দ্রুত সময়ে খালের মধ্যের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।’